নজরুলের গানের সুর বিকৃত করায় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ র‌্যালি ও সমাবেশ

বাংলাদেশ শিক্ষাঙ্গন সাহিত্য

শেয়ার করুন

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গানটির চিরচেনা ও বিখ্যাত সুরটি ভারতীয় প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমান কর্তৃক বিকৃতভাবে উপস্থাপন করায় গতকাল সোমবার সকালে এক প্রতিবাদ র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশিষ্ট নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর প্রধানগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। ড. সৌমিত্র শেখর তার বক্তব্যে বলেন, এ আর রহমানের আরোপিত সুর বাঙালিকে ধারণ করতে পারেনি। বাঙালির আবেগকে ধারণ করতে পারেনি। বরং একটি দুর্বল সুরের মধ্যদিয় বাঙালির মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এমনকি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আসুন সম্মিলিত প্রতিবাদের মাধ্যমে এ আর রহমানের এ সুরটিকে আমরা বর্জন করি। ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গানটিকে ‘ক্লাসিক’ গানের মর্যাদা দিয়ে নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, কারার ঐ লৌহ কপাট গানটি বাঙালির ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে গানটিকে আমরা গ্রহণ করতে দেখেছি। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময়, একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের যারা সূর্যসন্তান সংগ্রামী তারা এ গান গেয়েছেন। এ গান গেয়ে হেসে হেসে জীবন দান করেছেন। ফলে এ গান শুধু আর গান নেই। এ গানটি বাঙালির হৃৎস্পন্দনে পরিণত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *